চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের মারিয়াস্থল মৌজায় প্রতিপক্ষের জমি জবরদখলের অপচেষ্টা করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার ওই জমি দখলের অপচেষ্টা করে একপক্ষ। এসময় ভোগদখলকারী পক্ষ বাধা দিলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এনিয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনজুরুল আলম গত বৃহস্পতিবার থানায় উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা বিদ্যমান। আগামী ১৩ এপ্রিল মামলার রায়ের দিন ধার্য্য আছে। রায়ের পর ১৬ এপ্রিল ফের বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এজন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি শালিশী বোর্ড গঠণ করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে,হান্ডিয়াল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল করিম মাস্টার,তার ভাই আ. রহমান, আ. আজিজ, আ. মজিদ, শামসুল আলম,নজির প্রাং গং ক্রয়সূত্রে মারিয়াস্থল মৌজার ৮ একরের বেশি জমির মালিক। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই জমি ভোগদখল করে আসছেন। এসএ রেকর্ড ও আরএস রেকর্ড তাদের নামে। এনিয়ে আদালতে মামলা চলমান। রবিউল করিম মাস্টার গং এর অভিযোগ বিগত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর একটি পক্ষ এই জমি জবরদখলে মরিয়া হয়ে ওঠে। যার ফলে তারা সশস্ত্র অবস্থায় জমি দখলের অপচেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, মারিয়াস্থল মৌজার ১১ একর ৬০ শতাংশ জমির ডিএস রেকর্ড অনুযায়ী মালিক নুরুল হক সরকার গং। ১৯৫১ সালে ওই জমি নিয়ে খাজনার মামলা করেন সরকার পক্ষ। মামলায় সমস্ত জমি সরকারি হয়ে যায়। পরবর্তীতে সরকার নিলামে ওই জমি বিক্রি করেন। এলাকার বাসিন্দা শশধর হলদার নিলামে জমি ক্রয় করেন। এরপর শশধর হলদারের নামে এস এ রেকর্ড হয়। এরপর রবিউল করিম গং ৮ একরের বেশি জমি ক্রয় করে ভোগদখল করছেন। সম্প্রতি প্রতিপক্ষ আলমগীর গং এই জমি নিজেদের দাবি করে জবরদখলের অপচেষ্টা করছেন। গত বৃহস্পতিবার এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকাবাসী জানান, এই জমি নিয়ে যে কোন সময় সংঘাত-সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে। ঘটতে পারে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনজুরুল আলম বলেন,এনিয়ে উভয় পক্ষের সাথে বৈঠক হয়েছে। আদালতে রায় হবে ১৩ এপ্রিল। ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠণ করা হয়েছে। এনিয়ে ১৬ এপ্রিল ফের বসা হবে। এরপর সিদ্ধান্ত। এসময় কোন পক্ষই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারবেনা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
